অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় কন্যা ধর্ষণের বিচার থেকে পিছিয়ে গেলেন পিতা

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় কন্যা ধর্ষণের বিচার থেকে পিছিয়ে গেলেন দিনমজুর পিতা ইছাহাক আলী। সে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের বাসিন্ধা। জানা গেছে, গত ১ আক্টোবর বৃহস্প্রতিবার রাতে ইছাহাক আলীর ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া কন্যা (১২) কে একই গ্রামের প্রভাবশালী ওয়াহেদ আলীর ছেলে আতিকুর রহমান (৩০) ও তার আরো দুই সহযোগী বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় । পরে আতিকুরের আত্বীয় উপজেলার কালাকুড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়িতে আটকে রেখে রাতভর ওই কিশোরিকে ধর্ষন করে। পরদিন ২ অক্টোবর শুক্রবার ইছাহাক আলী থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে থানা পুলিশ অপহৃত কিশোরীসহ আতিকুরকে কালাকুড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, অপহৃত কিশোরীর পিতা ইছাহাক আলীর অর্থনৈতিক অবস্থা হওয়ায় ধর্ষদের বিরুদ্ধে মামলা না করার অঙ্গিকার করে তার কন্যাকে পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে যায়।এসময় ধর্ষক আতিকুরকে পুলিশ ছেরে দেয়।পরদিন ৩ অক্টোবর ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষিতা কিশোরী মাদ্রাসা ছাত্রী জানায়, তাকে অপহরণ করে রাতভর তার উপড় অমানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।ধষিতা কিশোরীর পিতা ইছাহাক আলী জানায়, ধর্ষক আতিকুর রহমান ও তার আত্বীয় স্বজনসহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এ ব্যাপারে মামলা না করার জন্যে প্রথম থেকেই তাকে নানভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি পদর্শন করে আসছে। ফলে সে মামলা না করার সিদ্ধান্ত নেয়।এদিকে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে দিঘীরপাড় গ্রামবাসিদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।গ্রামবাসিরা জানায়, ধর্ষণের বিচার না হলে তারা আন্দোলনে যাবেন ।